রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
সময়মতো অফিস পৌঁছাতে বাসস্ট্যান্ডে এসেও বাসে উঠতে না পেরে রাজধানীর খিলক্ষেতে বিক্ষোভ করেছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা আটকে তারা বিক্ষোভ করেন।
যাত্রীরা বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয় বাসে অর্ধেক সিট খালি রেখে বাস চলাচল করতে হবে। সেকারণে পরিবহনগুলো উত্তরা কিংবা গাজীপুর বাস স্টপেজ থেকে যাত্রী উঠিয়ে বাসের গেট বন্ধ করে অন্য গন্তব্যের দিকে রওনা হয়। এতে করে রাস্তায় থাকা যাত্রীরা আমরা পরিবহন সংকটে রয়েছি। সব বাস গেট বন্ধ করে চলাচল করছে। যে কারণে আমরা সকাল থেকে অপেক্ষা করেও কোনও বাসেই উঠতে পারছি না। এই কারণেই আমরা রাস্তায় অবরোধে বাধ্য হয়েছি।
খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। রাস্তার দুই পাশে যাত্রীরা গরমে আরও নাকাল হয়ে পড়েন।
মতিঝিলের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর কোনও বাসে উঠতে না পেরে রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। সরকারের হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের খরচও অনেকটাই বেড়ে গেছে। এরপরও গন্তব্যে জেতে প্রয়োজনমতো বাস আমরা পাচ্ছি না।
বাসে উঠতে না পেরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ
বাসে উঠতে না পেরে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সী সাব্বির আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাস সংকটের কারণে অফিসগামী যাত্রীদের বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। প্রায় ঘণ্টা খানেক রাস্তা বন্ধ ছিল। সকাল ১০টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৯ মার্চ) করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। বাসসহ সব গণপরিবহনে অর্ধেক সিট খালি রেখে যাত্রী তুলতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন অফিসও ৫০ শতাংশ জনবলে চালাতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে বাসের ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ। সুত্র: বাংলাট্রিবিউন।
ভয়েস/ জেইউ।